দু পয়সার সাংবাদিকদের জন‍্যই আপনারা প্রচারের আলোয় : ধিক্কার মহুয়া মৈত্র

7th December 2020 4:17 pm বর্ধমান
দু পয়সার সাংবাদিকদের জন‍্যই আপনারা প্রচারের আলোয় : ধিক্কার মহুয়া মৈত্র


নিজস্ব প্রতিবেদন ( বর্ধমান ) : যাদের দৌলতে আপনারা প্রচারের আলোয় , যাদের দৌলতে আপনারা মানুষের কাছে পরিচিত তারাই আজ দু পয়সার হয়ে গেল ! সাবাশ মহুয়া মৈত্র । ধিক্কার আপনাকে । আপনার দল সাংবাদিক দের সাথে আলোচনার জন‍্য ধারাবাহিক প্রেস কনফারেন্স এর ডাক দেয় । সেখানে আপনাদের মত দশ পয়সা ওয়ালাদের আমাদের মত দু পয়সার সাংবাদিকদের প্রতিদিন খোঁজ পরে । আজ আপনাদের এত বাড়বাড়ন্তের জন‍্য জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে দু পয়সার সাংবাদিকদের ই সবথেকে বেশী দরকার পরে । আপনি আজ সাংসদ । মনে পড়ে ভোটে দাঁড়াবার পর সেই দিনগুলোর কথা । তখন কোথায় ছিলেন আপনি ? তখন ফোকাসে থাকার জন‍্য হাত জড়ো করে ছবি তুলেছেন । তখন দরকার ছিল দু পয়সার ছেলে গুলোকে । হ‍্যাঁ আমরা দু পয়সার সাংবাদিক । আপনাদের মত আমাদের গায়ে আমফান দুর্নীতি , চাল চোর , কাটমানি , সারদা , নারদা কেলেঙ্কারী নেই । আমরা রোদে পুড়ে জলে ভিজে খবর সংগ্ৰহ করি । আমরা দালাল মিডিয়া । কিন্তু প্রয়োজনে আমাদেরকেই আপনাদের দরকার । আপনি তো দু দিনের রাজনীতিতে এসেছেন । আপনার পূর্বে কেউ কোনদিন এই উচ্চারন করে নি । আপনার ক্ষমতা আপনার মনে অহংকার এর জন্ম দিয়েছে । আপনি সুবক্তা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন তাও এই দু পয়সার সাংবাদিকদের দৌলতে । আপনারাই আমন্ত্রণ জানান সংবাদমাধ‍্যমকে । আপনাদের রাজ‍্যে ক্ষমতায় আসার জন‍্য সংবাদমাধ‍্যমের ভূমিকাও কিন্তু যথেষ্ট ছিল । দু পয়সার প্রেস কে ভাঙিয়ে আজ আপনারা গাড়ি , বাড়ি , সম্পত্তি করেছেন । দিন আসবেই মহুয়া মৈত্র ! তৈরী থাকুন । দু পয়সার সাংবাদিক ছাড়া আপনারা এক পা এগোতে পারেন না । আপনার মুখ থেকে বের  হওয়া এই উপমা " দু পয়সার প্রেস " বুমেরাং হবে । যাদের কাঁধে ভর করে নেতা আপনারা , তাদেরকেই অবজ্ঞা । শাবাশ ! 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।